চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে। কারণ গতবার শুধুমাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সে তুলনায় ফলাফল এগিয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় খারাপ ফল করেছে। জিপিএ-৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা।
ফলাফল বিবরণীতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ২১৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯২টি স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন।
পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৬৭ হাজার ১৭১ জন এবং ছাত্রী ৭৭ হাজার ৩৭৯ জন। পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ কম। ছাত্র পাসের হার ৮৭.৩৩ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ২.৮১ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৮৭.৬৯ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ কম।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বমোট ১৮ হাজার ৬৬৪ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৮৭৩ জন বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ৭৭৫ জন, যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৩৯৩ জন বেশি এবং ছাত্রী ১০ হাজার ৮৮৯ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৪৮০ জন বেশি।
এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৬.৮১ শতাংশ, মানবিকে ৭৮.৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৯১.৩০ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ জন, মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জন।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাসের হার ৯৪.২১ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১.০৭ শতাংশ কম। মহানগরীসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮৯.১১ শতাংশ।
কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৮.৪৫ শতাংশ, রাঙ্গামাটি জেলায় ৮১.৬০ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় ৭৫.৬৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় ৭৮.৩৬ শতাংশ।
জিপিএ-৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। গত বছরের তুলনায় তাদের জিপিএ-৫ বেড়েছে ৩ হাজার ৪৮০। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকায়ও এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।