শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উরুগুয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের মিশনে পর্তুগাল

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৪৫

প্রথম ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা অনেকটা সহজ করে রেখেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। আজ উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই নক-আউটে উঠে যাবে পর্তুগিজরা। 

গ্রুপ-এইচ'র নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আজ দিবাগত রাত ১ টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল-উরুগুয়ে। 

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ১৬’তে উরুগুয়ের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। সেই ম্যাচের প্রতিশোধ নিতেই আজ মাঠে নামবে রোনালদোর পর্তুগাল।

ফার্নান্দো সান্দোসের পর্তুগাল প্রথম ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে উজ্জীবিত জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে। অন্যদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে এশিয়ান জায়ান্ট দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে উরুগুয়ে।

ঘানার সঙ্গে পর্তুগালের হয়ে পেনাল্টিতে প্রথম গোলটি করে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার বিরল এক কৃতিত্ব গড়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক রোনালদো। ম্যাচের অনেকটা সময় জুড়েই পর্তুগাল ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ওসমান বুকারির ৮৯ মিনিটের গোলে হঠাৎ করেই আফ্রিকান জায়ান্টরা ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। শেষ মুহূর্তে ইনাকি উইলিয়ামস ঘানাকে সমতায় ফেরানোর দারুন এক সুযোগ পেয়েছিলেন। পেনাল্টি বক্সে পর্তুগিজ গোলরক্ষক ডিয়েগো কস্তার কাছ থেকে চতুরতার সঙ্গে বল ছিনিয়ে নিয়েও পড়ে গেলে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত সান্তোসের দল স্বস্তিদায়ক তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।

আজ জিততে পারলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটি পর্তুগালের জন্য নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হয়ে দাঁড়াবে। সেই সুযোগটা কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চায়না রোনালদো বাহিনী।

চার বছর আগে উরুগুয়ে ও পর্তুগাল একে অপরের সঙ্গে শেষ ১৬’তে খেলেছে। অভিজ্ঞ তারকা এডিনসন কাভানির জোড়া গোলে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে গিয়েছিল উরুগুয়ে। 

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের হয়ে ডিয়েগো গডিন ও ফেডেরিকো ভালভার্দের শট পোস্টে না লাগালে ম্যাচের ভাগ্য হয়তো ভিন্ন হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশুন্য ড্র হয়। দিয়েগো আলোনসোর দল কখনই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হয়নি কিংবা পরের রাউন্ডের জন্য অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু পর্তুগালের বিরুদ্ধে হারলে ঘানার সঙ্গে শেষ ম্যাচের আগে বেশ বিপদেই থাকবে উরুগুয়ে।

প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ১৯৫০ সালে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা ঘরে তুলেছিল। সর্বশেষ তিন বিশ্বকাপেও তারা ইতিবাচক ফলাফল নিয়েই বাড়ি ফিরেছে। ২০১০ সালে চতুর্থ হবার পর ২০১৪ বিশ্বকাপে শেষ ১৬ ও চার বছর আগে রাশিয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি। বিশ্বকাপে পরের রাউন্ডে খেলার অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ লা সেলেস্তেদের। আর সেই অভিজ্ঞতাই এবার একটু আগে ভাগে কাজে লাগাতে চায় উরুগুয়ে।

এর আগে তিন বার পর্তুগালের মোকাবেলা করেছে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি। এর মধ্যে সর্বশেষটি ছিল চার বছর আগে বিশ্বকাপের শেষ ১৬’তে। কাতার বিশ্বকাপের দলেও উরুগুয়ে অভিজ্ঞদের ওপরই আস্থা রেখেছে। গডিন, মার্টিন কাসেরেস, কাভানি ও লুইস সুয়ারেজের কাঁধে ভর করে আরো একবার শেষ ১৬’তে যাওয়াই এখন তাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।

ইত্তেফাক/এসএস