ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। সোমবার (২৮ নভেম্বর) এ পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস দ্বারা আবদ্ধ এবং এই অনন্য মেলবন্ধন যৌথ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।’’ এ সময় তিনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।’ একইসঙ্গে তিনি ঢাকায় ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের যৌথ উদযাপনের বিষয়টি আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করেন এবং দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চলমান রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া, তিনি গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি এবং পরে লন্ডনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও স্মৃতিচারণ করেন।
হাইকমিশনার রহমান ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। তিনি ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরন্তর প্রচেষ্টার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
