বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

যুবদল নেতা হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৪১

রাজবাড়ী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এস এম সামসুল আলম বাবলুর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় আরও ৪ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
 
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার বিনোদপুরের মৃত নুরুদ্দোহার ছেলে সাবেক কাউন্সিলর মীর এনাম আলী বাচ্চু ও ১ নম্বর বেড়াডাঙ্গার মোকাম মিয়ার ছেলে সানোয়ার রহমান জকি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সানোয়ার রহমান জকি পলাতক রয়েছে। ২ জনকে মৃত্যুদণ্ডসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামিদের মৃত্যুর আদেশ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাজবাড়ী পৌর এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে মো ইয়াকুব, আজিজ দেওয়ানের ছেলে শাহিন, বাবলু মিয়ার ছেলে রানা, কালুখালী উপজেলার হুগলাডাঙ্গী গ্রামের আকমল বিশ্বাসের ছেলে রশিদ ও বেড়াডাঙ্গা এলাকার আজিজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাপ্পি। 

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে রানা ও ফরহাদ হোসেন বাপ্পি পলাতক রয়েছে।

রায়ে রাজবাড়ী পৌর এলাকার খাইরুল, উজ্জল, আরিফ মণ্ডল ও আরিফ মিয়া নামের ৪ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি মো. উজির আলী শেখ জানান, ২০১২ সালে ২৪ আগষ্ট রাতে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের তৎকালীন আহ্বায়ক বাবলুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখান থেকে ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করি।

২০১২ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক সানাউল্লাহ শেখের বাড়ির সামনে যুবদলের আহ্বায়ক সামসুল আলম বাবলুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ইত্তেফাক/বুখারী/পিও