শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে মার্কিন সহায়তা

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮:১৭

রাশিয়ার লাগাতার হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি ও নাগরিক পরিষেবার অবকাঠামোর যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, সে দেশের একার পক্ষে তা সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। চরম শীত ও অন্ধকারের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ, পানি ও উত্তাপ থেকে সাধারণ মানুষ বার বার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রশাসন আরও হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে। সুপরিকল্পিত ভাবে নাগরিক পরিষেবার উপর লাগাতার হামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কষ্ট দেবার এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র তাই মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ইউক্রেনের জন্য বাড়তি সহায়তার ঘোষণা করছে। খবর ডয়চে ভেলের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোমেনিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে সেই সহায়তার রূপরেখা তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বণ্টনের জন্য প্রয়োজনীয় পাওয়ার লাইন মেরামতির ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন এক সার্বিক সমাধানসূত্র প্রয়োগ করতে চায়।

ন্যাটো ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তার উদ্যোগ নিচ্ছে।

মার্কিন প্রশাসন আমেরিকার বিভিন্ন পরিষেবা, হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী কোম্পানি ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ইউক্রেনে ক্ষতিগ্রস্ত হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন স্টেশন দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে। ন্যাটো ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তার উদ্যোগ নিচ্ছে।

সেই সঙ্গে জ্বালানি, ওষুধপত্র, শীতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ড্রোন জ্যামারের মতো সহায়তা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সাতটি নর্ডিক ও বাল্টিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে নিজের দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ট্রান্সমিটারের জন্য আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে আরও উন্নত এয়ার ডিফেন্স প্রণালীও চেয়েছেন।

 জ্বালানি, ওষুধপত্র, শীতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ড্রোন জ্যামারের মতো সহায়তা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

জি-সেভেন গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি দেশ জার্মানি ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর পুনর্গঠনে আরও গতি আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানী কিয়েভ মোটামুটি শান্ত থাকলেও খেরসন অঞ্চলে রাশিয়া গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। 

খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর রুশ বাহিনী ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিমে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু গত সপ্তাহেই ২৫৮টি হামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ডোনেটস্ক অঞ্চলের বখমুত ও আভিভকা এলাকার উপরও রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে।

খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর রুশ বাহিনী ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিমে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

শীতের প্রকোপে কোনো পক্ষই সহজে নতুন করে জমি দখল করতে পারছে না বলে মনে করা হচ্ছে। রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের ডাকে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে। 

এই প্রস্তাবের আওতায় বোয়িং কোম্পানি সস্তার ও ছোট আকারের প্রিসিশন বোমা সরবরাহ করতে চায়, যা ইউক্রেনের বাহিনীর কাছে থাকা রকেটের উপর বসানো সম্ভব।

ইত্তেফাক/ডিএস