ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা আবু আল-হাসান আল-হাশেমি আল-কুরায়শি নিহত হয়েছেন। আবু আল-হুসাইন আল-হুসাইনি আল-কুরায়শি তার জায়গায় নতুন নেতা হয়েছেন। ইসলামিক স্টেটের এক মুখপাত্রের এক অডিও বার্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদপত্র টাইমস।
আইএসের মুখপাত্র অডিও বার্তায় বলেছেন, আইএস নেতা আবু আল-হাসান যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির অভিযানে সাবেক আইএস নেতা নিহত হয়েছেন। গত মার্চে তিনি আইএসের নেতা হয়েছিলেন। সিরিয়ায় মার্কিন সেনা অভিযানের সময় জঙ্গি সংগঠনটির সাবেক এই নেতা আত্মঘাতী হন। নতুন আইএস নেতার আসল নাম, জাতীয়তা বা পটভূমি প্রকাশ করা হয়নি।
আইএসের মুখপাত্র বলেছেন, আইএসের নতুন নেতা একজন অভিজ্ঞ মুজাহিদিন। এর আগের আইএস নেতা আবু আল-হাসান সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। নেতা হিসেবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
তবে গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) আইএস বিরোধী টেলিগ্রাম চ্যানেলে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আল-কায়েদার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইএস নেতা বেশ কিছু দিন আগে মারা গেছেন। তবে আইএস নেতাকে হত্যার জন্য কোনো অভিযান চালানোর কথা অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কোনো অভিযানে জড়িত নয়। তবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি আইএস নেতার মৃত্যুকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আইএস একসময় পূর্ব ইরাক থেকে পশ্চিম সিরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত। তথাকথিত 'খিলাফত' ঘোষণা করে, আইএস এই বিশাল অঞ্চলের প্রায় ৮ মিলিয়ন বাসিন্দার উপর তাদের নৃশংস শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল।
২০১৯ সালে আইএস তাদের দখল করা শেষ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়। কিন্তু জাতিসংঘ ধারণা করেছে, সিরিয়া ও ইরাকে এখনও ছয় থেকে দশ হাজার আইএস যোদ্ধা রয়েছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আইএসের আঞ্চলিক সহযোগীরা বিশ্বের অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আইএসের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্কগুলো আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও লেক চাদ বেসিনে রয়েছে।