শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কাবুলে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলার দায় স্বীকার আইএসের

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:২৭

কাবুলে পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। ইসলামাবাদ এই হামলাকে 'হত্যার চেষ্টা' বলে ঘোষণা করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানীতে শুক্রবারের (২ ডিসেম্বর) হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আইএস এই দায় স্বীকার করে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জিহাদি মনিটর এসআইটিই এর উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক গ্রুপ জানিয়েছে, এটা ছিল বিদ্রোহী পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ও তার রক্ষীদের ওপর হামলা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মিশন প্রধানের ওপর হামলাকে 'হত্যার চেষ্টা' বলে অভিহিত করেছেন এবং তদন্তের দাবি করেছেন।

কাবুল পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী কাছাকাছি একটি বিল্ডিং তল্লাশি করার পর একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে দুইটি হালকা অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী কাছাকাছি একটি বিল্ডিং তল্লাশি করার পর একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও গত বছরের আগস্টে কট্টর ইসলামপন্থীরা দায়িত্ব নেওয়ার পরও পাকিস্তান তার দূতাবাস খোলা রেখেছিল। এর মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ কূটনৈতিক মিশন বজায় রাখার চেষ্টা করছিল।

দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, একজন হামলাকারী ঘরের পিছনে এসে গুলি করা শুরু করে কিন্তু রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মীরা নিরাপদে ছিলেন।

একজন হামলাকারী ঘরের পিছনে এসে গুলি করা শুরু করে কিন্তু রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মীরা নিরাপদে ছিলেন।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তার কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার জন্য কোনো বিদ্বেষপূর্ণ অভিনেতাকে হুমকির সৃষ্টি করতে দেবে না। বিবৃতিতে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তার কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার জন্য কোনো বিদ্বেষপূর্ণ অভিনেতাকে হুমকির সৃষ্টি করতে দেবে না।
 
পাকিস্তান দশ লাখেরও বেশি আফগান শরণার্থীর আবাসস্থল এবং দুই দেশ প্রায়ই সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, আফগান তালেবান জোর দিয়েছিল যে তারা দেশের মাটি থেকে বিদেশী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে কাজ করতে দেবে না।

ইত্তেফাক/ডিএস