লন্ডনে নিজের বাড়িতে ডাকাতি হওয়ায় বিশ্বকাপের মাঝপথেই দেশে ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তিনি ফিরবেন কিনা সেটিও এখনও নিশ্চিত নয়।
ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশন নিশ্চিত করেছে নক-আউট রাউন্ডে সেনেগালের সঙ্গে ৩-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেই পারিবারিক কারনে দলের বাইরে ছিলেন স্টার্লিং। ব্রিটিশ গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে স্টার্লিংয়ের লন্ডনের বাসায় সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ইংলিশ ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে অবশ্যই তার পরিবারের সঙ্গে থাকাটা জরুরী। তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। যতদিন সে থাকতে চায় তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তার উপর আমি কোন ধরনের চাপ দিতে চাইনা। কখনো কখনো পরিবার যখন সামনে চলে আসে তখন ফুটবলের গুরুত্ব কমে যায়।’
সাউথগেটের ছয় বছরের দায়িত্বে স্টার্লিং জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় ছিলেন। ২৭ বছর বয়সী স্টার্লিং এ পর্যন্ত ৮১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন। এর মধ্যে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ গোলের জয়ে এক গোল করেছেন স্টার্লিং ।
শেষ ষোলোর ম্যাচে সাউথগেটের মূল একাদশের বাইরে ছিলেন স্টার্লিং। ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগে বুকায়ো সাকা, মার্কোস রাশফোর্ড ও ফিল ফোডেন নিজেদের প্রমাণ করেছেন। কাতারে সাকা ও রাশফোর্ড তিনটি করে গোল করেছেন। ফোডেন সেনেগালের বিপক্ষে দুটি এ্যাসিস্ট করেছেন।
সাউথগেট বলেন, ‘স্টার্লিংয়ের চলে যাওয়া দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। আজ সকালে আমি অনেকটাই সময় স্টার্লিংয়ের সঙ্গে কাটিয়েছি। অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনায় সবসময়ই সে ছিল। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবনকে আমাদের শ্রদ্ধা জানাতেই হবে। ইতোমধ্যেই সে ইংল্যান্ডে রওয়ানা হয়ে গেছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বড় একটি ম্যাচকে সামনে রেখে বিষয়টা আমাদের জন্য অবশ্যই দুঃশ্চিন্তা। কিন্তু সব কিছুকে কাটিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অবশ্যই পরিবার সবার আগে।