আগের ম্যাচেই ক্যামেরুনের কাছে হেরেছিলো ব্রাজিল। সেই হারেই যেন টনক নড়েছে হলুদ জার্সিধারীদের। নক-আউটের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে যেন মাঠেই নেমেই দেখা মিললো সাম্বার ছন্দময় ব্রাজিলের। ম্যাচের ৩০ মিনিটের ভেতরেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই ২-০ গোলের লিড নিয়েছিলো ব্রাজিল। এরপর ম্যাচের ২৯ মিনিটে আরও এক গোল করে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলের লিড এনে দেন রিচার্লিসন।
বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪'এ শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নক-আউটের লড়াইয়ে নেইমারকে নিয়েই মাঠে নামে ব্রাজিল। মূল একাদশ নিয়ে নেমেই যেন চেনা ছন্দে সেলেসাওরা। ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিটের মাথাতেই ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এই গোলের ৫ মিনিট না পেরোতেই রিচার্লিসনকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পটকিক থেকে কোরিয়ার জালে বল জড়াতে একটুও ভুল করেননি ব্রাজিলের নাম্বার টেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই লম্বা পাসে আক্রমণ করার চেষ্টা করে ব্রাজিল। প্রথম অ্যাটাক থেকেই গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৭ মিনিটে বাম দিক থেকে সাজানো আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল।
মাঠের বাম দিক থেকে রাফিনহার বাড়ানো বল পায় ডি বক্সের ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ঠান্ডা মাথায় অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান তিনি। তার গোলে ম্যাচের শুরুতেই লিড পায় ব্রাজিল।
১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় ব্রাজিল। ম্যাচের ১১ মিনিটে বক্সের ভেতরে রিচার্লিসনকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পটকিক থেকে গোল করে ব্রাজিলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা নেইমার। ঠান্ডার মাথায় অসাধারণ শটে কোরিয়ার জালে বল জড়িয়ে স্টেডিয়াম জুরে হলুদ উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার।
