বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে কক্সবাজারে উৎসবের আমেজ

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৮

কক্সবাজারে আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জনসভার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়ে আছে। সাড়ে ৫ বছর পর বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল তিনটায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের সড়কে সড়কে রয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান। 

নেত্রীর আগমনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। 

বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ইনানী অংশে অনুষ্ঠিত ৩০ বন্ধু প্রতিম দেশের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌ শক্তি মহড়া উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে কক্সবাজার শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কক্সবাজার শহর ছেয়ে-গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দলীয় নেতা-কর্মীরা আশা করছেন, এবারের জনসভাটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগমে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ভ্যানে নৌকা নিয়ে সারা শহর প্রদক্ষিণ করেছে প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রধানমন্ত্রী দলীয় জনসভায় ২৮টি বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং নতুন কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে স্ব-প্রণোদিত হয়ে অপেক্ষা করছে উপজেলা ও উপকূলের হাজারো নেতা-কর্মী এবং শ্রমজীবী। গৃহহীন যারা ঘর পেয়েছেন, বয়স্কভাতা যারা পেয়েছেন, লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়া চাষী পরিবারের লোকজন কৃতজ্ঞতা ও প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি একনজর দেখতে সভাস্থলে যেতে প্রস্তুতি নিয়েছেন।

চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে নতুন করে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সাথে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাঁকখালী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া মগনামায় ফেরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহসড়ক, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণের দাবি জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

মহেশখালী দ্বীপ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে হাজারো মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এবং কক্সবাজাসীকে নতুন কি উপহার দিচ্ছেন তা সরাসরি শুনতে মঙ্গলবার বিকেল ও রাতে কক্সবাজার চলে এসেছেন। আশপাশের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ দুপুর হতে আশা শুরু করতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জনসভার মাঠ ছাড়িয়ে পুরো কক্সবাজার শহর জনসভাস্থলে রূপান্তরিত হবে বলে আশা সবার।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যম হিসেবে এবারের জনসভায় সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটাতে আওয়ামী লীগ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। নেওয়া হয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। যেখানে দায়িত্বপালন করছে ৪ হাজারের বেশি পুলিশ। কক্সবাজারসহ আশপাশের চারটি জেলা থেকে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের জন্য কক্সবাজারে আনা হয়েছে।

কক্সবাজারে জনসভায় ২৮ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে।

ইত্তেফাক/কেকে