পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের মধ্যেই নয়া পল্টনে দলীয় অফিসে এসে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাকে কার্যালয়ে ঢুকতে না দেওয়ায় অফিসের সামনের সড়কে বসে পড়েন। রাস্তায় বসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কেন আমাকে অফিসে ঢুকতে দিচ্ছেন না? এটা আমার অফিস। আমাকে ভেতরে যেতে দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদেই এই অবস্থান। উই আর ওয়েটিং। আমরা বলেছিলাম বিকল্প কিছু দিতে। আর আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। আর আজকে হঠাৎ করে এসে তারা এভাবে হামলা চালালো। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর টিয়ার শেল, গুলি, লাঠিচার্জ করলো। এ দায় সরকারকে নিতে হবে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনারা মাথা ঠাণ্ডা করেন। এই দেশটা সবার। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিবকে কার্যালয়ের ভেতরে যেতে দেয়নি পুলিশ। তিনিও কার্যায়ের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা মহানগরী গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে জড়ো হতে থাকেন রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে সকালে থেকেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি সাধারণ পরিবহনের হামলা চালায় তারা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে এক পর্যায় পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে সাংবাদিক, বিএনপি নেতা-কর্মী ও পথচারীরসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।