বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অবরুদ্ধ বিএনপি কার্যালয়, থমথমে নয়াপল্টন

আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫১

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। এর মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ আছে। এলাকাজুড়ে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

নয়াপল্টল এলাকায় দেখা গেছে, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান। কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুই পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া পথচারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কার্যালয়ের সামনের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ।

নয়েপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান। সংগৃহীত ছবি

এছাড়া কোনো যানবাহন যাতে এ সড়কে প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য বিজয়নগরের নাইটিংগেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়দের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তারা কিছুটা আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান। পথচারীদের পরিচয় নিশ্চিত করে প্রবেশ করতে দিচ্ছে পুলিশ। ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত না হলে ব্যারিকেড থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নেতা-কর্মীদের ভিড়ে রাস্তা বন্ধ হওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ১ জন নিহত হয়েছেন। কয়েকশ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংঘর্ষে বিএনপির বহু নেতা-কর্মী আহত হন। ছবি: স্টার মেইল

এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছেন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক। দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক শামসুল আলম বাদশার কপালে ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে‌ অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে ও সামনে থেকে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন আছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। ছবি: ইত্তেফাক

পরে মির্জা ফখরুল কার্যালয়ের সামনে আসেন। প্রথমে তাকে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিলেও পরে যেতে দেওয়া হয়। তবে মির্জা ফখরুল সেখানে না ঢুকে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। রাত ৮টার দিকে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। বুধবার রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইত্তেফাক/এসকে