রাজধানীর বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অপারেশন কিলো ফ্লাইটের বৈমানিক ও মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীর-উত্তম।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রথম এবং বাদ জুমা রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শামসুল আলমকে বনানীর কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়।
দাফনের আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। দাফন শেষে বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে তার কবরে শ্রদ্ধা জানান এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুর রহমান। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শূন্যে গুলি ছুড়ে গান স্যালুট জানানো হয়। সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দূতাবাসের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, চিরদিন তার অভাব অনুভূত হবে, কখনো বিস্মৃত হবেন না। ‘কিলো ফ্লাইট’-এর সাহসী যোদ্ধা গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম, বীর-উত্তম সেই বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন যারা ভারতীয় সৈন্যদের সঙ্গে একযোগে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছেন, যাদের আত্মত্যাগ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সংহতির ঘনিষ্ঠ বন্ধনকে অনুপ্রাণিত ও শক্তিশালী করে চলেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এবং ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। শামসুল আলম তালুকদার (৭৭) বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৪৭ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।