কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুলিশের হাত থেকে বাবলু মিয়া (১৯) নামের এক মাদক কারবারি হাতকড়াসহ পালিয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর সমঝোতায় হাতকড়া উদ্ধার হলেও মাদক কারবারিকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গি নয়াপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়রা জানান, কোমরভাঙ্গি নয়াপাড়া এলাকার শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে রৌমারী থানার এসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সাদা পোষাকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাদকসহ বাবলু মিয়াকে আটক করে দুহাতে হাতকড়া পড়িয়ে দেয় পুলিশ। পরে মাদক উদ্ধারে পুলিশ আশেপাশে তল্লাশি চালাতে থাকে। এ সময় সুযোগ বুঝে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় বাবলু মিয়া। পুলিশ ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়। উপায় না পেয়ে পুলিশের ওই সদস্যরা বাবলু মিয়ার চাচা যাদুরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহ কামালের শরণাপন্ন হয়। পরে তার হস্তক্ষেপে বাবলু মিয়াকে না ধরার শর্তে হাতকড়া ফেরত দেওয়ার সমঝোতা হয়। বাবলু মিয়ার ছোট ভাই সুজন মিয়া হাতকড়াটি উদ্ধার করে পুলিশকে দেন। ঘটনাটি ৩ দিন অতিবাহিত হলেও মাদক কারবারি বাবলু মিয়াকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
যাদুরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহ কামাল বলেন, রৌমারী থানার এসআই এনামুল হক ফোন দিলে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে যাই। পরে বাইমমারী নামক এলাকার একটি ঈদগাহ মাঠ থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়। বাবলু মিয়া তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে বলে দাবি করেন তিনি।
রৌমারী থানার এসআই এনামুল হক বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় মাদক ব্যবসায়ী বাবলু মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় হাতকড়া পড়ানোর সময় ঝটকা দিয়ে পালিয়ে যায়। এখনো তাকে আটক করা যায়নি।
রৌমারী থানার ওসি রুপকুমার সরকার বলেন, হাতকড়াসহ আসামি পালানোর বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে তাকে কিছু জানানো হয়নি।