শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ভর্তির লটারিতে একই শিক্ষার্থীর নাম উঠলো ১৪ বার!

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ফলাফলে তাহিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নাম ১৪ বার উঠেছে। এর মধ্যে মেধা তালিকায় ১০ বার ও অপেক্ষমাণ তালিকায় ৪ বার তার নাম উঠে। এছাড়াও একই ছবি ও জন্ম নিবন্ধন নম্বরে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে এক শিক্ষার্থীর পাঁচ বার নাম উঠে। ‘অদ্ভুত’ এই ফলাফল নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টি নিয়ে হতবাক। তবে কি কারণে এমনটি হয়েছে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৪১ জন ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের তালিকা সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে স্কুলের ফটকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফলাফল দেখতে ভিড় জমে। ফলাফলে দেখা যায়, তাহিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় ১০ বার ও অপেক্ষমাণ তালিকায় ৪ বার রয়েছে। ছবি একই থাকলেও জন্ম নিবন্ধন, ইউজার আইডি ও মোবাইল নম্বর ভিন্ন ভিন্ন। 

ফারিয়া নামের আরেক শিক্ষার্থীর একই ছবি ও জন্ম নিবন্ধন নম্বরে পাঁচ বার নাম রয়েছে। ফারিয়ার ছবি ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর এক থাকলেও নামের ক্ষেত্রে কোথাও ফারিয়া জামান জেসি অথবা ফারিয়া আরফা রয়েছে। মেধা তালিকায় ফারিয়ার জামানের নাম ১, ১০৮, ১৩৩ এবং ফারিয়া আরফার নাম ৯৩ ও ১৩৫ এ রয়েছে। 

অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে নিশ্চিত অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। একই ইউজার আইডি, নাম, পরিচয় হলে বুঝতে পারতাম ভুলে এসেছে। কিন্তু একই শিক্ষার্থী আলাদা ৮ বার কীভাবে আবেদন করে ইউজার আইডি পেল? 

বিনয় ঘোষ নামে এক অভিভাবক বলেন, আমি আমার মেয়ের ভর্তির ফলাফল দেখতে এসেছিলাম। এসে দেখলাম আমার মেয়েসহ শতশত মেয়ে লটারিতে বাদ পড়েছে। কিন্তু এমন মেয়ে দেখলাম, যাদের নাম তালিকার একাধিকবার এসেছে। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হলে খুশি হবো। 

গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারভীন আক্তার বলেন, ‘এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো আমি বলতে পারবো না। সম্পূর্ণ বিষয়টি অনলাইনে হয়ে থাকে ঢাকা থেকে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, একজন শিক্ষার্থী কীভাবে এত গুলো ইউজার আইডি ব্যবহার করলো, তা শিক্ষা অধিদপ্তর ভালো বলতে পারবে। অনলাইনে লটারির বিষয়ে সম্পূর্ণ ঢাকা থেকে দেখা হয়। সেখানে বদল করার সুযোগ নাই। ওই শিক্ষার্থীদের নাম একাধিকবার আসলেও সে একবারই ভর্তি হতে পারবে। বাকিগুলো অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

ইত্তেফাক/বুখারী/পিও