ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসছে নারী-শিশুসহ প্রায় ২০০ রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা। খাবার ও পানির অভাবে প্রাণ হারানোর শঙ্কার মুখে থাকা মানুষগুলোকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক জন রাজনীতিক।
আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারতীয় জলসীমায় রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটি অবস্থান করছে। এতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা রয়েছে। নৌকাটির ক্যাপ্টেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান করা মোহাম্মদ খান রেজুয়ানকে রবিবার ফোনে বলেছেন, আমরা মারা যাচ্ছি। রেজুয়ান একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, পানিশূন্যতা ও অনাহারে ইতিমধ্যে নৌকায় থাকা তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। তাদের পানি, খাবার কিছুই নেই।
এ অবস্থায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন্স (আসিয়ান) এবং অঞ্চলটির অপর দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে এবং নৌকায় থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করার জন্য। আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) বিবৃতিতে বলেছে, পুরুষ, নারী ও শিশুতে পূর্ণ একটি নৌকা চরম বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ভাসতে দেওয়া হচ্ছে, এটি চরম হতাশার। এই মানুষগুলোকে অবজ্ঞা মানবতার প্রতি অপমান ছাড়া কিছু নয়। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটি নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার পর ১ ডিসেম্বর থেকে এটি সাগরে ভাসছে।