বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতান্ত্রিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন দুই নেতা।
সভাপতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাবো। এ দেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে মূলৎপাটনে সবসময় দৃঢ় অবস্থান থাকবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উপযোগী দক্ষ মানুষ আমরা হতে চাই। ছাত্রলীগে অংশীদারিত্বমূলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক সেটিই আমরা চাই। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করবো। দায়িত্বকে যদি আমরা আরও বেশি বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারি তাহলে সংগঠন আরও বেশি গতিশীল হবে বলে আমরা মনে করি। সাংগঠনিক জবাবদিহীতা থাকবে, কেন্দ্র এবং তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হবে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সাজানো বাগান। এখন আমাদের মালি হয়ে বাগানের পরিচর্যা করা, শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ করা। আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আমাদের এখন লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রধান লক্ষ্য স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলা। স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলার যে ধরনের পরিবেশ দরকার, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় কাজ করে যাবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির তৎপরতা রুখতে সবসময় মাঠে কাজ করে যাবে। এদের যেকোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বিনষ্ট করে এমন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে সবসময় প্রস্তুত থাকবে ছাত্রলীগ।
সম্পাদক আরও বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আবেগতাড়িত হয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকে। আমরা চেষ্টা করবো, সকল ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে থেকে প্রধানমন্ত্রী যেমন পরিবেশ চায়, যেমন ছাত্রলীগ চায় সেভাবেই ছাত্রলীগকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা ছাত্রলীগের সুনামকে বিন্দুমাত্র ম্লান হওয়ার সুযোগ দেবো না। এ ইতিহাসকে আরও গৌরবান্বিত করার জন্য কাজ করে যাবো।
এদিন বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এসে সমিতির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন নেতারা। এ সময় তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন। পেশাদারি কাজে যাতে কোনো প্রকার অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে তার পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল।