দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ পরিশোধে আবারও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তির ৫০ শতাংশ দিলেই কেউ আর খেলাপি হবে না।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বাজার ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, নানাবিধ নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে ক্ষুদ্র, বৃহত, মাঝারি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নগদ প্রবাহ বিরূপভাবে প্রভাবিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ সহজ করার মাধ্যমে চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখা এবং ব্যবসা বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তির ৫০ শতাংশ দিলেই কেউ আর খেলাপি হবে না। এতে আরও বলা হয়, অপরিশোধিত কিস্তির অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) প্রদেয় হবে। তবে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত এক বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণপূর্বক নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে। এছাড়া ইসলামী শরিয়াহিভত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, উল্লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণসমূহ যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে বর্ধিত সময়ের জন্য কোনোরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করা হলো, অবিলম্বে কার্যকর হবে।