সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কুয়াশায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে নিত্যদিনই যানজট

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩২

ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত এ যানজট লেগেই থাকে। ফলে প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশ থেকে মহাসড়কে জুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এতে করে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা মধ্যে দীর্ঘ সময় আটকা থাকা যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে গেলে ধীরগতিতে যান চলাচল শুরু করে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়। এটা এখন এই রুটে স্বাভাবিক চিত্র।

যাত্রীর অভিযোগ, যানজটের সময় ঠান্ডার কারণে রাস্তায় নেমে হাঁটাহাঁটিও করা যায় না। আবার মহাসড়কের পাশে শৌচাগারের  ব্যবস্থা না থাকায় নারীযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে শিশুসহ সাধারণ যাত্রীদের  ভোগান্তী যেন শেষ নেই। কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার মহাসড়কের দুপাশে কোন ভালো খাবার হোটেল না থাকার কারণেও ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা।

এ বিষয়ে পরিবহন শ্রমিকদের অভিমত, ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার সামনে কিছু দেখা যায় না। তাই গাড়ি ধীরে চালাতে হয়। তাছাড়া সম্প্রতি দুর্ঘটনাও বেড়েছে। এছাড়াও সেতুতে প্রায়ই কয়েকটি করে টোলবুথ বন্ধ রাখা হয়। তাই মহাসড়কে পরিবহন চাপ বেড়েছে।

টোলবুথ বন্ধ রাখার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ভোরে দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম থাকে। তাই মাঝে মাঝে পাঁচটি করে টোলবুথ বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে আবার সবগুলো টোলবুথ চালু করে দেওয়া হয়। তখন স্বাভাবিক গতিতে টোল আদায় করা হয়। তাই দিনের বেলা যানজট থাকে না।

শীত কেটে গেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ইত্তেফাক/আরএজে