মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। তবে আজ শিক্ষাবর্ষের শুরুর দিনেই আড়ম্বরপূর্ণভাবেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বছরের প্রথম দিনেই বই উৎসব করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় বই উৎসব হবে গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে প্রাথমিকের বই উৎসব। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, কাগজের মূল্য বৃদ্ধি এবং যথাসময়ে কাগজ পেতে দেরি হওয়া, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জটিলতা কাটিয়েও বছরের শুরুতে বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, আজ ১ জানুয়ারি মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ এবং প্রাথমিকের ৭১ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে স্কুলে স্কুলে। এনসিটিবির বক্তব্য হলো, সব বই পৌঁছানো যাবে না। তবে এমন কোনো স্কুল বাদ যাবে না যেখানে বই পৌঁছবে না। সে বিষয়টিই নিশ্চিত করছে বই ছাপা ও মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের স্তরের মোট ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই ছাপছে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। প্রাক-প্রাথমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বইসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।
মোট বইয়ের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন ভাষার শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি বই রয়েছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক (স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি) স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৫ কপি বই ছাপা হচ্ছে।