চীন থেকে আসার পর আইসোলেশনে থাকা দেশটির চার নাগরিকের একজনের শরীরে করোনার নতুন ধরন ‘বিএফ.৭’ শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, নতুন উপধরন নিয়ে আমরা ভীত নই। তবে নতুন উপধরনকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। সংক্রমণের হার যেন কোনোভাবেই বাড়তে না পারে, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ওমিক্রনের নতুন ধরন বিএফ.৭ আগেরটির চেয়ে চারগুণ বেশি সংক্রামক। এটির কারণে চীনে আবারো হু হু করে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও দেখা দিয়েছে এই ধরন।
করোনার চীনা ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। পাশাপাশি সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের স্ক্রিনিং করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের এই নতুন উপধরন বিএফ-৭ অত্যন্ত সংক্রামক। এর সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।