শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাত্তারকে সরাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৮

জাতীয় সংসদ ও দল থেকে পদত্যাগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কেনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সরাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

সোমবার (২ জানুয়ারি) সরাইল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর। এ সময় প্রেসক্লাবের বাইরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এখন নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য শেষ বয়সে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন। এ জন্য আমরা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। পাশাপাশি তাকে সরাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন করতে এলে স্বার্থপর, লোভী, নির্লজ্জ আত্মকেন্দ্রিক আবদুস সাত্তারকে প্রতিহত করা হবে। তিনি তার ছেলের দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে দল থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি ১৯৭৯ সালে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হিরো হয়েছিলেন, এখন স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জিরো হবেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া অসুস্থ হয়েও তার পরিবার ও সন্তান দ্বারা লোভের বশবর্তী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি। এটি তার ব্যক্তিগত ঘাঁটি নয়। আমরা তাকে প্রতিহত করব। যদি দলীয় কোনো নেতা-কর্মী তাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে লিখিত এক চিঠির মাধ্যমে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রোববার (১ জানুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া ইত্তেফাক অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে উপনির্বাচনে অংশ নেবেন বলে এলাকায় গুঞ্জন চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কার করা হয়।

ইত্তেফাক/এনএ/পিও