নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটাররা যারা আসছেন, তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন। ভোটকেন্দ্রে ডাকাত নেই, আমরা এ পর্যন্ত ডাকাত দেখিনি। আমাদের দেখা মতে, ভোট ভালো হচ্ছে, সুন্দর হচ্ছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি মনিটরিং কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভোট আমাদের দেখামতে ভালো হচ্ছে। কোনো অনিয়ম নাই। গতবার যে সিচুয়েশন দেখতে পাচ্ছিলাম, এবার সে সরকম সিচুয়েশন নেই।
তিনি আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম। প্রচণ্ড শীত, চরাঞ্চল খুবই দুর্গম জায়গা। এজন্য এখন একটু কম।
এর আগে, সাঘাটা ও ফুলছড়ি নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট শুরু হয়। ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
এ উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙ্গল) বিকল্পধারা বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর বগুড়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত. গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই মারা যান। নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণার পর গত ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। কিন্তু ভোটগ্রহণে অনিয়ম করায় ভোট স্থগিত করা হয়। এই অনিয়ম তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কাজ শেষে গত পুনরায় ৪ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করেন নির্বাচন কমিশন।