কক্সবাজারে উখিয়া বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবিস্ফোরিত গ্রেনেডটি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর উচ্চতর বোম ডিসপোজাল বিশেষজ্ঞ দল। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে সেনা টিম।তবে আদালতের নির্দেশ না পাওয়ায় গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর ব্লক বি/৩৯ এ জনৈক মোহাম্মদ নবীর বাসায় গ্রেনেডের সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ঘরের বাসিন্দা রোহিঙ্গা মোহাম্মদ নবী আহত হন। অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত নকীকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলের বরাতে ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন ভূঁঞয়া বলেন, শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ বোম ডিসপোজাল দল ক্যাম্পে পৌঁছার পর গ্রেনেডটি উদ্ধার করে। গ্রেনেডটি দেখতে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট ভয়াবাহ হামলায় ব্যবহৃত পাকিস্তানে তৈরি 'আর্জেস গ্রেনেড' মত হলেও বিশেষজ্ঞ দল বলছে, গ্রেনেডটি মিয়ানমারে তৈরি। এটি বিস্ফোরণ ঘটলে ব্যাপক প্রাণহানি হতো।
তিনি আরও বলেন, গ্রেনডটি আসলে আহত নবীর ওপরে ছুটে মারা হয়েছে নাকি তিনি নিজে এটি এনে বাড়িতে রেখেছেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। হামলাকারীরা কথিত আরসার সদস্য আর নবী হোসেন সেই গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানান তিনি।
গ্রেনেডটি বিস্ফোরণ হলে ব্যাপক প্রাণহানির হতো বলে মন্তব্য করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে কথিত আরসা সদস্যদের ১০-১২ জনের একটি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর বি/৩৯ এলাকায় প্রবেশ করে ৫-৭ রাউন্ড গুলি করে। এতে রোহিঙ্গা মোহম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। আহত নবীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার ঘরে গ্রেনেড সাদৃশ বস্তুটি পাওয়া যায়।