মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ব্রিটেনের প্রথম ইউরোপীয় হওয়ার প্রচেষ্টা হতাশার মধ্যে শেষ হয়। মিশন পরিচালনাকারী সংস্থা ভার্জিন অরবিট মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে জানায়, রকেটটি উৎক্ষেপণের পরপরই একটি 'অসঙ্গতি' অবস্থায় পরে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাকাশে বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে এই অভিযান শুরু হয়েছিল। 'কসমিক গার্ল' নামে পরিচিত ৭৪৭ বিমানটি রকেটসহ নিউকেয়ের কর্নওয়াল বিমানবন্দরের নতুন লঞ্চ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
এটি আটলান্টিক মহাসাগরের ৩৫ হাজার ফুট উপরে থেকে আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রচারণার শুরুতে ঠিকঠাক কাজ করলেও কোম্পানি থেকে খবর আসে রকেটটি 'অসংগতিতে' পড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
দেখা যাচ্ছে, ভার্জিন অরবিট সিস্টেম তুলনামূলকভাবে নতুন। এটি শুধুমাত্র ২০২০ সাল থেকে কাজ করছে। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণের পর ইতালীয় নির্মিত 'ভেগা-সি রকেট' মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর এটি ইউরোপীয় মহাকাশের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আরেকটি ধাক্কা দেয়।
ভার্জিন অরবিট প্রথমে টুইটারে জানিয়েছিল, লঞ্চার ওয়ান পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে। কিন্তু পরে সেই টুইট মুছে দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের স্পেস এজেন্সির কমার্শিয়াল স্পেস ডিরেক্টর ম্যাট আর্চার জানিয়েছেন, 'ভবিষ্যতে সরকার ও ভার্জিন অরবিটসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'
ভার্জিন অরবিট ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার রিচার্ড ব্র্যানসনের আংশিক মালিকানাধীন। একটি মার্কিন ঘাঁটির বাইরে এটির প্রথম মিশন নয়টি ছোট উপগ্রহকে নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মিশনটিকে কর্নওয়াল, ব্রিটেন ও ইউরোপের জন্য একটি ঐতিহাসিক প্রথম ঘটনা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা রানওয়েতে ভিড় করে। কিন্তু মিশন ব্যর্থ হওয়ার খবরে সবাই শান্ত হয়ে যথারীতি ফিরে যায়।