মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:১০

ইরান একজন ব্রিটিশ ও ইরানি দ্বৈত নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির পরিবার বিবিসির পার্সি সার্ভিসকে এমনটাই জানিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তির নাম আলীরেজা আকবরী। তার স্ত্রী মরিয়ম জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ আলিরেজার সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য পরিবারকে কারাগারে যেতে বলে। ইতোমধ্যে তাকে নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আলিরেজা ইরানের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আলিরেজাকে ইরানে যুক্তরাজ্যের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আলিরেজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। 

একই সঙ্গে লন্ডন তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি জানিয়েছেন, এটি একটি বর্বর শাসনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ। এই শাসকরা জনগণের জীবনের কোনো চিন্তাই করে না।

আলিরেজা ইরানের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।

আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, তারা আলিরেজার পরিবারকে সহযোগিতা করে আসছে। তারা ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আলিরেজার বিষয়টি তুলে ধরেছে। যুক্তরাজ্য আলিরেজাকে জরুরি কনস্যুলার সুবিধা দেওয়ার জন্য ইরানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। 

কিন্তু ইরান সরকার ইরানিদের দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। বিবিসির পার্সি সার্ভিস বুধবার (১১ জানুয়ারি) আলিরেজার একটি অডিও বার্তা সম্প্রচার করেছে। অডিও বার্তায় তিনি জানান, তাকে নির্যাতন করা হয়। ক্যামেরার সামনে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু তিনি এই অপরাধ করেননি।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি

আলিরেজা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে তিনি বিদেশে ছিলেন। বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের পরমাণু আলোচনায় জড়িত একজন শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক তাকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ইরানে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।

সংস্কারপন্থী নেতা মোহাম্মদ খাতামি যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন আলিরেজা দেশটির উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। খাতামি ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

ইত্তেফাক/ডিএস