দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলার ঘটনায় দক্ষিণপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে তদন্তের আওতায় আনতে সম্মত হয়েছেন। ৮ জানুয়ারি দাঙ্গার জন্য প্রথমবারের মতো সম্ভবত দায়ীদের মধ্যে বোলসোনারোর নাম রাখা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ভিডিওতে বলসোনারো গত অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কয়েকদিন পর দাঙ্গায় তার ভূমিকা তদন্তের সিদ্ধান্তও আসে।
সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, বোলসোনারো এই ধরনের দাবির মাধ্যমে অপরাধকে উসকানি দিতে পারেন। সাবেক প্রেসিডেন্টকে তদন্তের আওতায় আনতে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তারা।
ভিডিওতে বলসোনারো দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেননি। পরিবর্তে তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও ব্রাজিলের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের পছন্দ দ্বারা প্রেসিডেন্ট হন। গত রোববারের (৮ জানুয়ারি) দাঙ্গার পর ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় যুক্তি দিয়েছিল, শুধু এই ধরনের বিবৃতিই বলসোনারোর আচরণের একটি প্রাক-অনুসন্ধানের ন্যায্যতা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। রোববার হাজার হাজার বলসোনারো সমর্থক দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেস ভবন ও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামলা চালায়।
তাদের দাবি, গত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। সামরিক অভ্যুত্থানের আহ্বান জানিয়ে তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ভেতরে ও বাইরে তাঁবু ফেলেছিল। বোলসোনারো লুলার কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইভেন্টের দুই দিন আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, ফ্লোরিডায় অবস্থানরত বলসোনারোকে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দাঙ্গার ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাসিলিয়ার সাবেক নিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস। দাঙ্গার আগে তিনিও যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পুলিশ গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) টরেসের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তারা জানান, সেখানে একটি নথি পাওয়া গেছে যাতে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।