শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আফগানিস্তানে নারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন

আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:১৯

আফগানিস্তানে নারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক সদস্য। গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে নারীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে তাদেরকে একরকম কোণঠাসা করে রাখে তালেবান সরকার। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করা থেকে শুরু করে এনজিওতে কাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার একান্ত বৈঠকে বসেন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য। আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানের অনুরোধে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গত বছর আশরাফ গণির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসার পর অনেক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান প্রশাসন। নারীদের জনসমাগমস্থলে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারিসহ আরো নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তালেবান। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে পশ্চিমা বিশ্বে। তালেবান প্রশাসনকে কঠোরভাবে সতর্কও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইশিকানে কিমিহিরো নিরাপত্তা পরিষদে ১১ সদস্যের পক্ষে বক্তব্যে তালেবান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। অন্য ১১ দেশের আলবেনিয়া, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, গেবন, জাপান, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতেরাও উপস্থিতি ছিলেন।

আফগান নারী ও মেয়েদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শিক্ষা, জনসমাগমস্থলে তাদের যাতায়াতে সমান সুযোগ দিতে তালেবান প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান ১১ দেশের রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে নারীদের বিরুদ্ধে যেসব নেতিবাচক পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরে তালেবান সরকারের সবশেষ নিষেধাজ্ঞার কারণে আফগানিস্তানে কার্যক্রম বাতিল করতে বাধ্য হয় একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। দেশটির মানবিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিনদিন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

 

ইত্তেফাক/ইআ