প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকার ব্রিটেনে বিক্ষোভ দমন করতে নতুন প্রস্তাব ঘোষণা করতে চলেছে। এই প্রস্তাব গুরুতর পরিস্থিতি রোধে পুলিশি পদক্ষেপের পরিধি আরও প্রশস্ত করবে। কাতারভিতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সুনাক বলেন, 'প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি, কিন্তু তা নিরঙ্কুশ নয়। একটি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘুর নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করে এমন প্রতিবাদ আমরা মেনে নিতে পারি না। এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমরা এটি শেষ করতে যাচ্ছি।'
যুক্তরাজ্যের সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন পাশ হলে, এর অর্থ হবে পুলিশ তাড়াতাড়ি বিক্ষোভ বন্ধ করতে পারবে। সাম্প্রতিক সময়ে, সাধারণত পরিবেশগত ইস্যুতে বিক্ষোভ, সেন্ট্রাল লন্ডনের বড় অংশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং মূল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
ফলে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশকে আরও ক্ষমতা দিতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার এটি মোকাবেলায় ২০২২ সালে একটি আইন পাস করে। তবে তারা পাবলিক অর্ডার বিল নামে পরিচিত একটি নতুন আইন নিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিলটি গত বছর প্রকাশিত হয়েছিল এবং বর্তমানে সংসদে বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনা পেয়েছে। যারা দাবি করে, এটি গণতান্ত্রিক বিরোধী এবং পুলিশকে অত্যধিক ক্ষমতা দেয়।
'গুরুতর ব্যাঘাত' এর আইনি সংজ্ঞা প্রসারিত করতে, পুলিশকে আরও নমনীয়তা দিতে এবং নতুন ক্ষমতা কখন ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে আইনি স্পষ্টতা দিতে আইন হওয়ার আগে সরকার পাবলিক অর্ডার বিল সংশোধন করতে চায়।
যদি বিলটি পাস হয়, তাহলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হবে যারা একটি বিল্ডিং বা বস্তুতে নিজেদের আটকে রাখার চেষ্টা করে। এছাড়াও আদালতগুলোকে কিছু প্রতিবাদকারীদের স্বাধীনতা সীমিত করার অনুমতি দেওয়া হবে যাতে তারা গুরুতর ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে।