যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, অগ্রগতি না থাকলে র্যাবের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আসত। আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলেছি র্যাব ও সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার এক বছরের মাথায় সংস্থাটির আরো সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ আমরা দেখেছি, সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকার ও র্যাব নিজেও অগ্রগতি করেছে। এটা উত্সাহব্যঞ্জক। গত রবিবার রাতে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ডোনাল্ড লু বলেন, নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে, সরকার ও বিরোধী পক্ষ সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, মতপ্রকাশের অধিকার পায় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি থাকবে। বিরোধী পক্ষ বা সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী যে-ই সহিংসতা করুক না কেন, আমরা যখনই তা দেখি তখনই এর নিন্দা জানাই। নির্বাচনের সময় নেতাদের বা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে কি না সেদিকেও আমাদের নজর থাকবে। আমরা এ বিষয়গুলো প্রকাশ্যেই বলব।
লু বলেন, আমার সঙ্গে সরকারের বৈঠকগুলোতে সবাই ভয়ভীতি, সহিংসতামুক্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান (মোহাম্মদ ইমরান) ও বাংলাদেশি অন্য কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খুব আন্তরিকভাবে দেখি। যুক্তরাষ্ট্রে যাতে তারা নিরাপদে থাকেন সে জন্য আমরা অনেক উদ্যোগ নিই। আমরা বাংলাদেশের কাছেও এমনটি প্রত্যাশা করি। ডোনাল্ড লু আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য যাদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে, তারা সবাই বাংলাদেশে আমেরিকান কূটনীতিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।