শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আফগানিস্তানজুড়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় ৭০ জনের মৃত্যু

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৩

আফগানিস্তানে গত সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায় দেশে প্রায় ৭০ হাজার গবাদি পশু প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ঘোর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরিয়ানা নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ঠান্ডাজনিত কারণে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এক টুইটে তিনি লেখেন, 'প্রকৃতির উপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু ঠান্ডায় এমন প্রাণহানি খুবই দুঃখজনক।'

আফগানিস্তানে গত সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর প্রাণহানি রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এমনকি, মধ্য ঘোর অঞ্চলে গত সপ্তাহের শেষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ নাসিম মুরাদি জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শীত সবচেয়ে বেশি শীতল। এই চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ছবি ও ভিডিওগুলোতে আফগানিস্তানের মধ্য ও উত্তর প্রদেশে ভারী তুষারপাত দেখা যায়। অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে দেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ছবি ও ভিডিওগুলোতে আফগানিস্তানের মধ্য ও উত্তর প্রদেশে ভারী তুষারপাত দেখা যায়।

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার কারণে সম্প্রতি হেরাত প্রদেশে অন্তত ১৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান আহমেদ ফারহাদ আফজালি জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৩০ থেকে ১৪০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। 

হেরাতের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা ঘর গরম করার একমাত্র উপায় হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্যাসের অসতর্ক ব্যবহার মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করে।

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার কারণে সম্প্রতি হেরাত প্রদেশে অন্তত ১৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘর গরম করার জন্য কয়লা ব্যবহার করা হলে এ ধরনের ঘটনার আশঙ্কা বেশি। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের বিষক্রিয়া হতে পারে। অত্যধিক কার্বন মনোক্সাইড খাওয়ার ফলে চেতনা হ্রাস, অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

ইত্তেফাক/ডিএস