নিউইয়র্কের সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে শতকণ্ঠে বর্ষবরণের ঘোষণা দিয়েছে এনআরবি ওয়াল্ডওয়াইড নামে একটি সংগঠন। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন নিউইয়র্কের প্রাচীন সংবাদপত্র ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান। বর্ষবরণের ঘোষণার পর মঙ্গল শোভাযাত্রা ও শতকণ্ঠে বর্ষবরণের মহড়া হয়।
মহড়া পরিচালনা করেন সঙ্গীতায়োজক মহীতোষ তালুকদার তাপস। মুক্তিযোদ্ধা ও কণ্ঠশিল্পী তাজুল ইমাম পাপেট শো’র মহড়া করেন। নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদ-এর প্রধান সম্বয়ক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
১৪৩০ বঙ্গাব্দ বরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে মুহম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, নিউইয়র্কের শত আলোকিত মানুষের অংশগ্রহণে বর্ষবরণের প্রথম মহড়া দেখে আমি অভিভূত। মহড়াতে এত মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমি কখনো দেখিনি। পাপেট শো, যাত্রাপালা, পুঁথিগান, কবির লড়াই, বায়োস্কোপসহ হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির উপস্থাপনা থাকবে এই বৈশাখী আয়োজনে।
শতকণ্ঠে বর্ষবরণের ঘোষণার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- গোলাম ফারুক ভূঁইয়া, ফাহিম রেজা নূর, দর্পণ কবীর, জলি কর, রাশেদ আহমেদ, শীতেশ ধর, নুরুল বাতেন, আলপনা গুহ, দীমা নেফারতিথি ও সবিতা দাস।
আয়োজক সংগঠন এনআরবি ওয়াল্ডওয়াইড-এর সভাপতি বিশ্বজিত সাহা বলেন, ১৪৩০ সালের পয়লা বৈশাখের ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে রমনার বটমূলের আদলে শতকণ্ঠে বর্ষবরণ হবে। থাকবে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ ব্যাপক আয়োজন। দু’দিনের উৎসবে থাকবে চিরায়ত বাংলার বৈশাখী মেলা।
মহড়া ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক মহীতোষ তালুকদার তাপস বলেন, প্রথম মহড়ায় নিউইয়র্কের সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা বাংলা বর্ষবরণের জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে আগ্রহ পাচ্ছে এই প্রজন্মের তরুণরা। তাদের অংশগ্রহণে এই আয়োজনটি অনন্য মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠন এনআরবি ওয়াল্ডওয়াইড-এর সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন বলেন, এবারের বৈশাখ উদযাপনে নিউইয়র্কের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি আশা করছি। যথাসময়ে বর্ষবরণের এই আয়োজনে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করে সার্বজনীন উদযাপন পর্ষদ।
বর্ষবরণের প্রথম মহড়ায় নিউইয়র্কের সক্রিয় প্রগতিশীল সংগঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিল- প্রকৃতি, বহ্নিশিখা সংগীত নিকেতন, চারুকণ্ঠ, অনুপ দাস ড্যান্স একাডেমি (আড্ডা), শিল্পকলা একাডেমি ইউএসএ, বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল একাডেমি অ্যান্ড আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রজন্ম ’৭১।
আরো তিনটি মহড়া হবে বলে আয়োজকরা জানান। আগামী মহড়ায় চূড়ান্ত শতশিল্পী নির্বাচন করা হবে। বৈশাখী মেলায় থাকবে অন্তত ৫০টি বিভিন্ন ধরনের স্টল।