ঢাকা শহরের যত্রতত্র পোস্টার, দেওয়ালে লেখা, সাইনবোর্ড ও ব্যানার টানানোর ফলে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবার সৌন্দর্য রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে সেখানে পোস্টার লাগানোর পরিবর্তে নির্ধারিত স্থানে পোস্টার লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে ডিএনসিসি। ইতিমধ্যে প্রকল্পের পাইলটিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরসংলগ্ন ১৬ ফিট বাই ৬ ফিট সাইজের একটি বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এ বোর্ডেই পোস্টারগুলো লাগানো হবে। এছাড়া আরো পাঁচটি বোর্ড বসানোর জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম শিগিগরই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন রশিদ জনি বলেন, একটি পোস্টার বোর্ড ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে। ওয়ার্ডের আরো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোর্ড বসানো হবে। আসলে প্রত্যেক ওয়ার্ডেই এটি বসবে। যে ওয়ার্ডে যে পরিমাণ জনসংখ্যা আছে সে অনুযায়ী বোর্ড বসবে। যেমন কিছু ওয়ার্ডে প্রায় ১ লাখ বাসিন্দা আবার কিছু ওয়ার্ডে তার অর্ধেক। সে অনুযায়ীই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। আর পোস্টার লাগানোর বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। এক জন কতগুলো লাগাতে পারবে, আবার কতদিন রাখতে পারবেন। তবে আমরা যেসব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোর্ড স্থাপন করব, সেখানে সবার চোখ পড়বে। যার কারণে এক জন চাইলেই নির্দিষ্ট পরিমাণ পোস্টার লাগালেই তার উদ্দেশ্য সাধন হবে। যেমন কেউ যদি ১ হাজার পোস্টার পুরো ওয়ার্ডে লাগানোর চিন্তা করে, তখন তিনি আমাদের বোর্ডে ১০ ভাগ পোস্টার লাগাতে পারবেন। এতে তার শতভাগ প্রচারই পূর্ণ হবে। পোস্টার বোর্ড কার্যক্রম সফল হলে, শহরের সৌন্দর্য আর নষ্ট হবে না।’
ডিএনসিসি সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় পরিষদের ১৯তম করপোরেশন সভায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে কার্যক্রম চলছে। ঐ বোর্ড সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘অবৈধভাবে পোস্টার, ব্যানার লাগালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে পোস্টার লাগানোর স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। ’
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, ‘যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধে আইন রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ডিএনসিসি থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও জনগণকে সাবধান করেছি। তারপরও অবৈধভাবে পোস্টার লাগিয়ে শহর নোংরা করা হচ্ছে। এটি আর হতে দেওয়া যাবে না।’