মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কক্সবাজারে মার্কেট দখলে সশস্ত্র মহড়া, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে

আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:৩২

কক্সবাজারে ভাড়াটে নারীদের দিয়ে একটি মার্কেট দখলের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা চলছে। ইতিমধ্যে একাধিকবার হামলার পর সশস্ত্র মহড়া চলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে পর্যটন জোনে। হামলা ও সংঘর্ষের ভয়ে গেল কয়েক মাস ধরে মার্কেটটি খুলতে না পেরে ব্যবসায়ীদের অর্ধশত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কেট মালিকরা। কক্সবাজার পৌরসভার পর্যটন জোন কলাতলীর টি এম বার্মিজ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটছে।

মার্কেট মালিকদের অভিযোগ, পৌরসভার দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল্লাহ এবং সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা অর্ধশতাধিক ভাড়াটে নারীদের ব্যবহার করে তাদের মার্কেটটি দখল করতে চান। পুলিশের তৎপরতায় মার্কেটটি রক্ষা করতে পারলেও তাদের অব্যাহত হুমকিতে ব্যবসায়ী ও মার্কেট মালিকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। 

মার্কেট মালিক আব্দুর ছবুর জানান, বিএস ১৭৫১ খতিয়ানে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে অনেক বছর ধরে মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন তারা। হঠাৎ ভূমিদস্যুদের পক্ষে জনৈক আব্দুল করিম স্বত্ব দাবি করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা দায়ের করেন (নং-১৭৮৩/২২)। মামলাটি সরেজমিন তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন সহকারী কমিশনার । প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত মামলাটি খরিজ করে দেন।

হোসনে আরা নামে আরেক মার্কেট মালিক জানান, ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমরা একটি এমআর মামলা দায়ের করি (নং-১৮৫৫/২২)। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা গংদের বিরুদ্ধে আদেশ প্রদান করেন আদালত। মার্কেটে ব্যবসায়ীরা যেন নিরাপদে ব্যবসা করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয় আদেশে। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে চূড়ান্তভাবে হেরে যাওয়ার পর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যুরা মার্কেট দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে গতকাল সোমবার ভুক্তভোগীরা এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ব্যবসায়ী জেবর মল্লুক বলেন, মার্কেট খুলতে না পেরে আমাদের অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অনেক পণ্যও। আমরা আশা করছি থানা প্রশাসন আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করবেন।

এ ঘটনায় বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ ও মুসার  মোবাইলে যাগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো বেশ কয়েক জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখনো সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ পাচ্ছি। পর্যটন মৌসুমে শহরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না। সেখানে পুলিশের দৃষ্টি রয়েছে।

 

ইত্তেফাক/ইআ