একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছে মৃত্তিকা রাশেদ পরিচালিত ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রটি৷
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাশেদ পরিচালিত সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রাজ৷
রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাত ক্যাটাগরিতে মোট ১৮ পুরস্কার দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশ প্যানারোমা সেকশনের শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার পায় চলচ্চিত্রটি।
সিনেমাটিতে এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার হিসেবে রাশেদ বিপ্লব, সিনেমাটোগ্রাফার জাহেদ নান্নু, সম্পাদক বনি চৌধুরী, স্পেশাল ইফেক্ট রাহান আল রাশিদ, মিউজিক আহসান আল মিরাজ, আর্ট ডিরেক্টর মৃত্তিকা রাশেদ, কস্টিউম জায়েদ মিন আশরাফ এবং পোস্টার নিয়ে কাজ করেন পরাগ ওয়াহিদ।
পরিচালক মৃত্তিকা রাশেদ বলেন, নব্বই দশকে বাংলাদেশের সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার, বর্তমানে সে সংখ্যা দেড়শো থেকে দুইশ হবে। এই পরিসংখ্যান যখন একজন ফিল্ম জার্নালিস্ট অনুধাবন করতে পারেন, তার মনস্তাত্ত্বিক জগতে ঘটতে থাকে নানা পরিবর্তন। এই একজন মানুষের বিচিত্র অনুভূতিকে আমি ভিজ্যুয়ালাইজ করার চেষ্টা করেছি ক্যামেরা ও লেন্সের মাধ্যমে। দর্শকদের ভালো লাগলে তবেই আমার এ চেষ্টা সার্থক।
অভিনেতা নাঈম রাজ বলেন, কৃষ্ণপক্ষে আমি সদ্য অনার্স পাস করা একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চলচ্চিত্রটিতে বাস্তবতা এবং পরবাস্তবতার সেতুবন্ধন করা হয়েছে। এটি আমার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। নিজেকে বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণরূপে পরাবাস্তবায় নিয়ে যাওয়াটা মোটেও সহজ কথা নয়। তবে চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে নিজের মনস্তত্ত্বে সেই পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
১৪ জানুয়ারি থেকে একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই উৎসব ২২ জানুয়ারি শেষ হয়। এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্বের ৭১ দেশের মোট ২৫২ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল। যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব প্রদর্শিত হয়।