এবারের বিপিএল আসরের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটারদের একজন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী এক প্রান্ত আগলে খেলে যাচ্ছেন তিনি। আর তাই তো অন্যপ্রান্তে নির্ভার হয়ে খেলতে পারছেন তৌহিদ হৃদয়, জাকির হোসেন, মুশফিকুর রহিমরা। ফলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে সিলেটের তরি। শত ট্রল কিংবা সমালোনাতেও টলেনি শান্তর ব্যাটিং। অন্যান্য দলের কোচ খেলোয়াড় সবার মুখে একটাই কথা-শান্তর মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেশি। না হলে এত ট্রল-সমালোচনায় এমন পারফরম্যান্স করা কখনোই সম্ভব না।
শান্তকেও যতবার প্রশ্ন করা হয়েছে এত এত ট্রল করা হলেও কীভাবে এমন শক্ত থাকছেন। নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। ততবারই তার উত্তর হয়েছে, ‘কে কী সমালোচনা করল সেটা আমি চিন্তা করি না। আমার চিন্তা একটাই-দল কী চায় আমার থেকে। সে অনুযায়ী খেলতে পারলে খুশি থাকি আমি।’
গতকাল মঙ্গলবার বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস (৬৬ বলে ৮৯ রান) শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবারও ট্রলের বিষয়টি উঠে আসে। সেখানেও একই রকম উত্তর তার। তবে তিনি জানান, ‘টিমের চাহিদা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। যত বেশি ব্যাটিং করতে পারি সেটাই টিম চাচ্ছে।’
তবে ট্রল নিয়ে জানান, এটি তার নিজের ওপর প্রভাব না ফেললেও পরিবার সহজভাবে নিতে পারে না। শান্ত বলেন, ‘আমি কতটা হার্ডওয়ার্ক করি তা বাইরের কেউ জানার কথা নয়। যার যার চিন্তাভাবনা থেকে কথা বলে। এতে আমার করার কিছু নেই। এটা নিয়ে আমি ভাবিও না। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমার জন্য যতটা ডিফিকাল্ট তার চেয়ে বেশি ডিফিকাল্ট ফ্যামিলির জন্য। তারা এসব মেনে নিতে পারে না। আমি এটা বলছি না যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। তবে তা একটু ডিসেন্ট ওয়েতে হলে পরিবারের জন্য ভালো। সেভাবেই হওয়া উচিত।’
এতকিছুর পরেও ভালো খেলার পর কেমন লাগে-জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘আসলে ব্যাটিং ভালো হচ্ছে। এতে বেশি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। এটাই আমার দায়িত্ব। আরো ইমপ্রুভ করার আছে। কাজ করছি, যেন আরো ইমপ্রুভ করতে পারি।’
এ সময় তিনি আরো জানান, রংপুরের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কাজ করেই তার এই ইমপ্রুভ হয়েছে। বলেন, ‘আমি গত দুই থেকে আড়াই বছর ধরে রংপুরের হেড কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কাজ করছি। আলহামদুলিল্লাহ বেশ ইমপ্রুভ হয়েছে। আশা করি আরো ইমপ্রুভ হবে।’