ট্যাঙ্কের চাহিদা পূরণের আগেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের 'এফ-১৬' এর মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান চেয়ে বসেছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বলেন, 'আমাদের পরবর্তী প্রতিবন্ধকতা হল আধুনিক ফাইটার জেটের অভাব। এখন আমরা চাই, চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।' খবর আল-জাজিরার।
তিনি আরও বলেন, 'প্রথমে তারা আমাদের ভারী কামান, হিমার্স রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও লেপার্ড ট্যাঙ্ক দিতে চায়নি, কিন্তু পরে তারা সব দিয়েছে। আমাদের আশা আমরা পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া অন্য সব অস্ত্র পাব।'
তবে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস স্পষ্ট করে বলেছেন, 'ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা ফাইটার জেট নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নই। এমনকি আমরা কোনোভাবেই ইউক্রেনে আমাদের সেনা পাঠাবো না, কারণ এই যুদ্ধে ন্যাটো সেনাদের অংশগ্রহণের কোনো নির্দেশনা নেই। এখন পর্যন্ত কিয়েভকে ফাইটার জেট ও সেনা সরবরাহ করার কোন পরিকল্পনা নেই এবং ভবিষ্যতেও কোন পরিকল্পনা থাকবে না।'
ওলাফ শলৎস আরও জানান, পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তবে এই সমর্থন যুদ্ধকে আরও উসকে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শলৎস বলেন, 'আমরা অবশ্যই ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য যা প্রয়োজন তা করছি। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা এই যুদ্ধকে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে যুদ্ধে পরিণত হতে বাধা দিচ্ছি।'
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী প্রধানত পুরনো সোভিয়েত যুগের যুদ্ধবিমান নিয়ে গঠিত। এই বিমানগুলো রাশিয়ান বিমানের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং রাশিয়ান সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করা হয়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিশালী পশ্চিমা দেশগুলো। প্রাথমিক অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেশগুলো এখন ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে কিয়েভকে হিমার্সের মতো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।