বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত’

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৬

ক্যারিয়ারে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেলেও নিজের অবস্থান এখন সেভাবে তৈরি করতে পারেননি অভিনেত্রী সারা আলী খান। এমনকি মাঝে মাঝে নেতিবাচক আলোচনার শিরোনামেও আসতে দেখা যায় তাকে। তবে প্রতিটি সিনেমায় নিজেকে ভিন্ন ভিন্নরূপে মেলা ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার একেবারে নতুনরূপে পর্দায় আসছেন সারা। 

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো যোদ্ধার ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। যে চরিত্রটিকে সারা ‘সাহসী ও সাহসিকতার’ প্রতিধ্বনি বলেও আখ্যা দিয়েছেন। চরিত্রটিকে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সুযোগও ভাবছেন এই অভিনেত্রী। 

সম্প্রতি কান্নান আইয়ার পরিচালিত ‘এ ওয়াতান মেরে ওয়াতান’ শিরোনামের এই সিনেমাটির প্রথম ট্রিজার মুক্তি পেয়েছে। যেখানে সারাকে একজন মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকায় দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। নেটদুনিয়া থেকে গণমাধ্যম, সব জায়গাতেই প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। 

জানা গেছে, করণ জোহরের ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত এই সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। এতে সারা মুম্বাইয়ের একজন কলেজ শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা সংগ্রামী হয়ে ওঠার চিত্র পর্দায় তুলে ধরছেন। 

সিনেমাটি প্রসঙ্গে সারা বলেন, ‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত যে প্রাইম ভিডিও এবং ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট আমাকে এমন একটি ফিল্মের অংশ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। সত্যি বলতে, একজন অভিনেত্রী এবং একজন ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত এমন একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পেরে। যা সাহসিকতা, শক্তি এবং সাহসের প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে।’ 

কাননের সঙ্গে কাজ এবং নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কানন আইয়ার স্যারের সাথে কাজ করা আমার জন্য বিশেষ। কারণ তিনি বরাবরই খুব যত্ন নিয়ে একটি গল্প পর্দায় তুলে ধরেন। এই সিনেমাটির ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। গল্পটি নিয়ে তিনি খুবই আগেবপ্রবণ। তবে এমন একটি চরিত্র রূপায় আমার জন্য সত্যি খুব চ্যালেঞ্জিং। কারণ এর আগে আমি এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। যে চরিত্রগুলো করেছি সেগুলো থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে দর্শকরা আমাকে দেখতে যাচ্ছেন। যে কারণে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি প্রতিদিন নিজের ভেতর লালন করছি যে, আমি একজন রহস্যময় মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করছি।’ 

উল্লেখ্য, সিনেমাটি ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত হচ্ছে।

ইত্তেফাক/কেকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন