বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

লুকোচুরি খেলতে গিয়ে কিশোর পৌঁছে গেলো মালয়েশিয়া

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪০

মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাংয়ে জাহাজের কনটেইনারের ভেতরে মিলেছে বাংলাদেশি এক কিশোর। তাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও অসুস্থ অবস্থায় মালয়েশিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কনটেইনারের ভেতর ঘুমিয়ে গেলে কেলাং বন্দরে গিয়ে পৌঁছায়।

এম ভি ইন্টিগ্রা নামক ওই জাহাজ কনটেইনার নিয়ে ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। টানা ছয় দিন পর কনটেইনারের ভেতর চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি জাহাজের ক্যাপ্টেনের নজরে আসে। 

১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কনটেইনারের ভেতর ঘুমিয়ে গেলে কেলাং বন্দরে গিয়ে পৌঁছায়।

মালয়েশিয়ার বন্দর কর্মীরা ও পুলিশ প্রায় এক সপ্তাহ পরে, ১৭ জানুয়ারি পোর্ট ক্লাং এ তাকে খুঁজে পায়, এ এসময় ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় সে কাঁদছিল। স্টাফদের একজন সদস্য একটি কন্টেইনারে ধাক্কা দেওয়ার পরে ছেলেটির চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে।

মেরিন পুলিশ ফোর্স জানিয়েছে, ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ফাহিম নামের ছেলেটি বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার সময় কনটেইনারে আটকে পড়েছিল। ঘুমিয়ে পড়ার পর, সে কন্টেইনারে আটকে যায় ও পরের দিন ভারত মহাসাগরের ওপারে ইন্টিগ্রা কন্টেইনার জাহাজের সঙ্গে রওনা হয়। 

১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ফাহিম নামের ছেলেটি বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার সময় কনটেইনারে আটকে পড়েছিল।

পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার বন্দর কর্মী ও পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অভিবাসন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত চলছে। এছাড়া বর্তমানে সে হাসপাতালে তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলেও জানান তিনি।

কর্তৃপক্ষ প্রথমে আশংকা করেছিল, ফাহিম মানব পাচারের শিকার, কিন্তু শীঘ্রই ছেলেটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়ে তাকে পুনরুদ্ধার করছে। মালয়েশিয়ার সহকারী পুলিশ কমিশনার চা হুং ফং জানিয়েছেন, ঘটনায় কোনো বাজে খেলা হয়নি। 

মালয়েশিয়ার সহকারী পুলিশ কমিশনার চা হুং ফং

অন্যদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফউদ্দিন নাসুশন বিন ইসমাইল স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যখন জাহাজটি পশ্চিম বন্দরে পৌঁছে এবং কন্টেইনারটি খোলা হয় তখন কর্তৃপক্ষ ছেলেটিকে ভিতরে দেখতে পায়। কন্টেইনারের ভিতর একমাত্র তাকেই পাওয়া গেছে। 

এ বিষয়ে দায়ের করা পুলিশ রিপোর্টে জানানো হয়েছে ছেলেটির জ্বর এবং তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।পুলিশ আরও জানিয়েছে, ফাহিমের মামলাটি অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে যাতে তাকে একই জাহাজে দেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।

ইত্তেফাক/ডিএস/পিএস