মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

মায়ের কাছে থাকবে ইমরান-নাকানো দম্পতির ২ সন্তান 

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:০০

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানোর ২ সন্তান তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবেন। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এই রায় দেন।

তিনি বলেন, এই ২ শিশু এখনো নাবালিকা হওয়ায় তারা মায়ের কাছেই নিরাপদ। এছাড়া, এ বিষয়ে ইমরান শরীফের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ বিষয়ে রায় দেওয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন একই আদালত।

আদালত মামলার বাদীসহ ৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে এবং বিচার চলাকালীন শুধু এরিকো আদালতে তার জবানবন্দি দেন।

২০২১ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট ইমরান শরীফ এবং এরিকো নাকানোকে তাদের ২ মেয়ের সঙ্গে ১৫ দিনের জন্য গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে এক সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিন।

ছবি: সংগৃহীত

আদালত সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে এই পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।

বিচারকের পর্যবেক্ষণ, মা সন্তানদের যত্ন সহকারে দেখাশোনা করেন এবং শিশুরা মায়ের হেফাজতে নিরাপদে থাকে। এছাড়া, এরিকো নাকানো একজন চিকিত্সক এবং জাপানে অনুশীলন করেন, তাই শিশুরা তাদের মায়ের হেফাজতে নিরাপদে থাকবে।

মামলার বাদী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে, শিশুরা তার হেফাজতে নিরাপদে থাকবে। তাই শিশুদের হেফাজত নিয়ে এমরান শরীফের দায়ের করা মামলা খারিজ হয়ে যায়।

জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।

তবে ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে ওই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

ইত্তেফাক/এএএম