নারী জাতীয় দল নয়। অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল। খেলবে সাফে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভূটান এবং নেপাল খেলবে এই টুর্নামেন্টে। ৩ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর স্টেডিয়ামে খেলা শুরু। সবার সঙ্গে সবার খেলা হওয়ার পর টপ দুই দল ফাইনাল খেলবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
গতকাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দলে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিকালে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ২৩ ফুটবলারের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদেরও নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সিনিয়র দল নয়, অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দলের ৫ কর্মকর্তা। দলনেতা-১, দলনেতা-২, সহকারী দলনেতা দুই জন এবং এক জন ম্যানেজার। কর্মকর্তাবোঝাই ফুটবল দল। নারী ফুটবলে সাফল্যের পর এখন নাকি কর্মকর্তারা নারী ফুটবলে আগ্রহ বেশি দেখান। তাদেরকে জায়গা দিতে গিয়ে পদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে এখানেও থাকছেন ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু। তাকে রাখতেই হবে।
কর্মকর্তারা ধরে নিচ্ছেন নেপালের সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার অনূর্ধ্ব-২০ সাফেও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে। সাফল্য পাবে নিশ্চিত হয়েই কর্মকর্তারা নারী ফুটবলে পদ নিতে চান। এক নম্বর দলনেতা আতাউর রহমান মানিক, দুই নম্বর দলনেতা জাকির হোসেন চৌধুরী, সহকারী নুরুল ইসলাম নুরু, এবং টিপু সুলতান।
গত সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে নারী সাফে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দেশের ফুটবল দর্শক এখনো সেই সাফল্যের গন্ধ গায়ে মেখে আছে। নারী ফুটবলকে দেশের মানুষ আলাদা চোখে দেখে। সাফের তরতাজা সাফল্য এখনো সুরভী ছড়ায়। এমন সময় যদি নারী অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না আসে, কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন একটাকে চাপ মনে করছেন কি না। ছোটন বললেন,‘বাস্তবতা মানতে হবে।’
এই টুর্নামেন্টে ভারত এবং নেপাল শক্তিশালী দল। গত বছর নিজেদের দেশের মাটিতে ভারত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলেছে। সেই দলের কোনো ফুটবলার বাংলাদেশে আসবেন কি না, ছোটন নিশ্চিত না। ধারণা করছেন দুই-চার জন থাকলেও থাকতে পারেন। তবে যারাই আসুক ছোটন বলেছেন, ‘এইটুকু বলতে পারি আমার মেয়েরা ভালো খেলবে।’
সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের ছয় ফুটবলার রয়েছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলে। সাফে নিয়মিত একাদশে খেলেছেন গোলকিপার রূপনা চামকা এবং জুনিয়র শামসুন নাহার। এছাড়াও রয়েছেন গোলকিপার ইতি রাণী, গোলপিকার সাথী বিশ্বাস। আক্রমণ ভাগের স্বপ্না রাণী, সোহাগী কিসকু। দলে নতুন মুখ হচ্ছেন তিন জন। আইরিন আক্তার, আফরোজা খাতুন এবং অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলের সুরভী আকন্দ প্রীতি।
অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলোয়াড়রা হলেন: শামসুন নাহার (অধিনায়ক), রূপনা চাকমা (সহ-অধিনায়ক), ইতি রাণী, সাথী বিশ্বাস, সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, নাসরিন, কোহাতি কিসকু, ইতি, উন্নতি খাতুন, স্বপ্না রাণী, সোহাগি কিসকু, মাহফুজা খাতুন, নওশন জাহান, রূপা, রেহানা, হালিমা, রিপা, আকলিমা খাতুন, আনিকা তানজুম, আইরিন , আফরোজা, সুরভী আক্তার প্রীতি।