আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মাঘের প্রচণ্ড শীত অপেক্ষা করে দিন-রাত নির্বাচনী ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন। মাত্র কয়েক মাসের জন্য হলেও এই উপনির্বাচন ঘিরে জনমনে ব্যাপক কৌতুহল বিরাজ করছে।
এবার নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ডিএন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা), জাকের পাটির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাফি আল আসাদ (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)। প্রার্থীরা মাইকিং ও পোস্টার-হ্যান্ডবিল বিতরণের মাধ্যমে এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারও প্রার্থীদের কথা শুনছেন।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী না থাকায় নৌকা প্রতীক নেই। কেন্দ্র ও জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের ১৪ দলের প্রার্থী অধ্যাপক ইয়াসিন আলীর হাতুড়ি মার্কার পক্ষে ভোট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেভাবে কাজকর্মও চলছে।
আসনটি থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তিনিও প্রচার চালাচ্ছেন সমানতালে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়ের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে ২২ জানুয়ারি প্রার্থীতা ফিরে পান। এছাড়া ২৫ জানুয়ারি তার বাবা মারা যাওয়ায় নির্বাচনী প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যাহত হলেও কর্মীরা মাঠে তৎপর রয়েছেন।
এছাড়া জাকের পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন না থাকায় প্রচারে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সার্বিক পর্যালোচনায় এ আসনে ১৪ দলের অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়ের মধ্যে ত্রি-মুখী লড়াই হবে বলে আলোচনা চলছে সবখানে। অবশ্য শেষ মুহূর্তে ত্রি-মুখী লড়াই দ্বি-মুখী লড়াইয়ে পরিণত হওয়ার সম্ভবনার কথাও আলোচিত হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তকদির আলী সরকার জানান, এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৪ জন। ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকেন্দ্র ১২৮টি এবং বুথ ৮০৮টি।