আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে অবৈধভাবে সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গোবিন্দপুর গ্রামবাসী ও বালু উত্তোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দুপর গ্রামের পাশের সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েক জন মিলে ড্রেজার বসিয়েছেন। স্থানীয়রা বিষয়টি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেনকে জানালে তিনি গ্রামকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় বালু উত্তোলন না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে খালে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও বালু উত্তোলনকারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধে গ্রামবাসী রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন জানান, সরকারি এই খালের যে অংশে ড্রেজার বসানো হয়েছে, সেখানে বালু উত্তোলন করলে গোবিন্দপুর গ্রামের খালের দুই পাশের কয়েক শ বাড়ি ভাঙনের কবলে পড়বে। একই কথা জানান গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির আলী, ফজলুল হক, আব্দুল বাছেদ, শাহ আলমসহ অন্যরা। তারা খাল থেকে ড্রেজার সরিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
বালু উত্তোলনের প্রস্তুতির বিষয় স্বীকার করেছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া। তিনি বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় তিনি নিজ উদ্যোগে খালের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার জন্য খাল খনন করছেন। এতে গ্রামবাসীর ক্ষতির চেয়ে সুবিধাই বেশি হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ জানান, স্থানীয়দের দেওয়া অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।