শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চবি ভিসির অফিস ভাঙচুর ও ট্রেন অবরোধ ছাত্র লীগের

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগের একটি অংশ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী শাটল ট্রেনও আটকে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এই অংশটি ‘একাকার গ্রুপ’ হিসেবে পরিচিত। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা বেশ কিছু কাপ-পিরিচ ও কার্যালয়ের বাইরের ফুলের টব ভাঙচুর করেন। ছাত্রলীগের একজন নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় ও বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে এ ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এদিন উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক প্রার্থী ছিলেন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদ। তিনি ওশানোগ্রাফি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সিন্ডিকেট।

চবি ভিসির অফিস ভাঙচুর

উপাচার্যের কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিন্ডিকেট সভা চলাকালীন সময়েই শাখা ছাত্রলীগের একাকার গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। পরে ছাত্রলীগ নেতার নিয়োগ না হওয়ার খবর জানতে পারলে উপাচার্যের কক্ষের বাইরে ভাঙচুর চালায় তারা। এ সময় একটি চেয়ার, বেশ কিছু দামি কাপ-পিরিচ ও ফুলের টব ভাঙা হয়।

পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে শহরমুখী ট্রেন আটকে দেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, সিন্ডিকেট সভায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের চাইতে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গত কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রথম দাবি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের শিক্ষক থেকে বাদ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় দাবি হলো, ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী রাইয়ান আহমেদকে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। অবরোধকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি।

ইত্তেফাক/ইআ