করোনায় আক্রান্তদের ১২ শতাংশ ডিপ্রেশনে ভুগছে। তাদের এই অবস্থা থেকে চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। কিডনি রোগীদের করোনা হলে ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়। ডায়ালাইসিসের রোগীদের করোনা হলে ৫০ শতাংশ রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহিদ ডা. মিলন হলে করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে ‘মালটিটিউড অব ইস্যুজ ইন কোভিড : রেনাল, কার্ডিয়াক অ্যান্ড মেটাবোলিক ইনফ্লুয়েন্স’ ও ‘লং টার্ম হেলথ কনসিকোয়েন্সেস অ্যাস আ পোস্ট কোভিড-১৯ সিকোয়াল ইন হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘কিডনি ডিজিজ রিসার্চ গ্রুপ’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিম্পোজিয়ামে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে ২০২২ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ৮০৪ জন চিকিত্সকসহ স্বাস্থ্যকর্মীর একটি প্রাথমিক গবেষণা পরিচালিত হয়। করোনা অতিমারি পুরো বিশ্বকে পালটে দিয়েছে। ডায়ালাইসিসের রোগীদের করোনা হলে শতকরা ৫০ ভাগ রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের রোগীদের করোনা হওয়ার ঝুঁকি অনেক থাকে। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট রোগীদের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ৫০ ভাগ। করোনা টিকার কার্যকারিতা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট রোগীদের অনেক কম। করোনার টিকা ডায়ালাইসিস রোগীদের কার্যকারিতা শতকরা ৮৭ ভাগ। করোনার টিকা নেফ্রাইটিস রোগের পুনরাগম ঘটাতে পারে।
অনুষ্ঠানে এই গবেষণার প্রধান গবেষক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনায় বাংলাদেশে পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিত্সকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া কোভিডে আক্রান্ত চিকিৎসকদের শতকরা ৪০ ভাগ এবং শতকরা ৩৪ ভাগ নার্স লং কোভিডে ভুগছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি বলেন, কোভিড শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিড রয়েছে। কোভিড সংক্রমণের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সিম্পোজিয়ামে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু সালেহ আহমেদ, বারডেম এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কানসালট্যান্ট ডা. মীর ইসারাকুজ্জামান একটি করে গবেষণা প্রকাশ করেন।