মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ইউক্রেনকে এফ-১৬ বোমারু বিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৬

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আপাতত ইউক্রেনকে বোমারু বিমান সরবরাহের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। ইউরোপের কিছু দেশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরো দ্রুত সহায়তা চাইছেন।

পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ব্যাটেল ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পেতে না পেতেই ইউক্রেন সময় নষ্ট না করে আরো ভারী সামরিক সরঞ্জামের জন্য তদ্বির শুরু করে দিয়েছে। রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে এবার উন্নত বোমারু বিমান চায় জেলেনস্কির সরকার। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো জোরালো রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন। দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বাড়তি তৎপরতা সামলাতে ব্যস্ত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রাশিয়া আরো এলাকার ওপর কর্তৃত্ব দাবি করছে। ইউক্রেন সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের এমন অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেখাচ্ছেন না পশ্চিমা নেতারা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলত্জ আগেই ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নিলাম প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করেছিলেন। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি এফ-১৬ বোমারু বিমান পাঠানোর প্রশ্নে নেতিবাচক অবস্থান নিলেন।

জার্মানি ও আমেরিকা আপাতত বিরোধিতা করলেও ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ বলেন, সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই আলোচনার ঊর্ধ্বে থাকতে পারে না। তবে বোমারু বিমান সরবরাহের অনুরোধ মানার আগে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। যেমন সেই বিমান রাশিয়ার ভূখণ্ড স্পর্শ করবে না। ম্যাত্রঁদ্ধ সেই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা আরো বাড়াতে চান না। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউশ মোরাভিয়েস্কি ন্যাটোর সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনকে এফ-১৬ সরবরাহ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

  • ‘মহা প্রতিশোধ’ নিচ্ছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রতিরোধের বিপরীতে ‘মহা প্রতিশোধ’ নেওয়া শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রুশ সৈন্যরা এগিয়ে যাচ্ছে—রাশিয়ার এমন দাবির পরপরই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এল। জেলেনস্কি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলে রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা অবিচল রয়েছে এবং রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় তিনি রুশ সেনাদের রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের সাফল্যের কথাও স্মরণ করেন। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ওদেসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনিস্কি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, রাশিয়া সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে এখন। আমি মনে করি, তারা এই কাজটি এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে।’  ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, প্রতিদিনিই রাশিয়া কোনো না কোনোভাবে নিয়মিত যুদ্ধের ময়দানে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে আর নয়তো ওয়েগনারের ভাড়াটে যোদ্ধাদের নামাচ্ছে

ইত্তেফাক/ইআ