২০২২ কাতার বিশ্বকাপে একটা গানকে নিজেদের ‘বিশ্বকাপ গান’ বানিয়ে ফেলেছিলেন লিওনেল মেসিরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে প্রতিটা জয়ের পরই দল বেধে ঐ গানটা গেয়েছেন মেসি ও তার সতীর্থরা। এমনকি কাতারে আর্জেন্টাইন সমর্থকরাও ঐ গানে গলা মিলিয়েছেন। গানটির শিরোনাম হলো ‘মুচাচোস’। যার অর্থ ‘তারুণ্যের জয়গান’।
মেসিদের সেই বিশ্বকাপ গান ‘মুচাচোস’ এবার গাইলেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের পর। মানে যে গানটা গেয়ে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করেছিলেন মেসিরা, জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয় উদযাপন করলেন সেই গানটা গেয়েই।
গত রবিবার গ্রিক তারকা স্টেফানো সিসিপাসকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ। শিরোপা জিতে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে গড়েছেন নতুন রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রেকর্ড ১০ম শিরোপা জয়ের মধ্যদিয়ে সার্বিয়ান তারকা ছুঁয়েছেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের রেকর্ডও। মানে নাদাল-জোকোভিচ, দুই জনেই এখন পুরুষ এককে সর্বোচ্চ ২২টি করে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার মালিক।
এই ঐতিহাসিক শিরোপাটা আবার জিতেছেন চোটের সঙ্গে লড়াই করে। ম্যাচ শেষে তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। জোকোভিচ কোর্টেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে ভিআইপি বক্সে গিয়ে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে আলিঙ্গন করার মধ্য দিয়ে আবেগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইএসপিএনের সাংবাদিক আলেজান্দ্রো ক্লাপেনবাচকে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দেন সার্বিয়ান তারকা। এই আলেজান্দ্রো ক্লাপেনবাচার আর্জেন্টাইন সাংবাদিক। তার অনুরোধেই মেসিদের সেই ‘মুচাচোস’ গানটি গেয়ে শোনান জোকোভিচ।
হঠাৎ করেই টেনিস খেলোয়াড় জোকোভিচকে কেন মেসিদের বিশ্বকাপ গানটি গাওয়ার অনুরোধ করলেন আর্জেন্টাইন সাংবাদিক? কারণ, সাক্ষাৎকারে জোকোভিচ নিজেই জানান, তিনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। আগে দিয়েগো মারাদোনার ভক্ত ছিলেন। এখন তিনি মেসি ও আর্জেন্টিনার ভক্ত। কাতার বিশ্বকাপে তিনি নিজের দেশ সার্বিয়া বিদায় নেওয়ার পর আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করেছেন। এমনকি ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনালটি তিনি কাতারে বসেই দেখেছেন।
তো মেসি ও তার দলের এত বড় ভক্ত যিনি, তার কাছে মেসিদের বিশ্বকাপ গান গাওয়ার আবদার তো আলেজান্দ্রো ক্লাপেনবাচ করতেই পারেন! উল্লেখ্য, এটা মেসিরও খুব প্রিয় একটি গান। অনেক সাক্ষাৎকারেই তিনি গানটা গেয়ে শুনিয়েছেন।