বাংলাদেশ সফরে আসা নিয়ে অজুহাত দেখানো নতুন নয় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের। এর আগেও নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশে আসেনি কয়েক জন ইংলিশ খেলোয়াড়। এবারও হতে যাচ্ছে এমনটাই। সূচি অনুযায়ী চলতি মাস শেষেই মাঠে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে এ সিরিজে থাকছে না ইংল্যান্ডের নিয়মিত দল। সিরিজে দেখা যাবে না পরিচিত অনেক মুখ।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ড দলের। তবে দুই বোর্ডের সমঝোতার মাধ্যমে বাতিল হয়েছে এ দুই প্রস্তুতি ম্যাচ। সূচি অনুযায়ী, ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রাখার কথা জস বাটলারদের। এখনো সফরের দল ঘোষণা করেনি। ইংলিশ তারকা ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে আসা নিয়েই দিচ্ছেন নানা অজুহাত। তাই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সামনে বাংলাদেশ সফরের জন্য অনিয়মিতদের নিয়েই দল গড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে আসন্ন ইংল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আসা সিরিজে অনিয়মিত খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গঠন করতে হতে পারে ইংল্যান্ডকে। এ সফরের জন্য চলতি সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের দল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সফরে পিএসএলের কারণে অ্যালেক্স হেলসকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। পাকিস্তানি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের একটি দলের সঙ্গে মোটা অঙ্কের চুক্তিতে আছেন ইংলিশ এ মারকুটে ব্যাটার। জাতীয় দলের বদলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকেই বেছে নিতে যাচ্ছেন হেলস। একইভাবে বাংলাদেশে আসছেন না স্যাম বিলিংস, জেমস ভিন্স ও লিয়াম ডসনও।
এছাড়া আগে থেকেই জানানো হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য জো রুটকে পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুকসকে পাওয়া যাবে না। তাদের অনুপস্থিতিতে দলের বাইরে থাকা উইল জ্যাকসের দলে সুযোগ মিলতে পারে। চোটের কারণে এ সফরের সময় বিশ্রামে থাকবেন জনি বেয়ারস্টো ও লিয়াম লিভিংস্টোন। টেলিগ্রাফের মতে, কমপক্ষে ১৫ জন নিয়মিত ক্রিকেটারকে বাংলাদেশ সফরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অধিনায়ক জস বাটলার, মঈন আলী, আদিল রশিদ ও জেসন রয়দের মতো তারকা খেলোয়াড়রা।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রাখবে ইংল্যান্ড দল। এরপর ১ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলবে সফরের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এছাড়া ১৪ মার্চ শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে সফর শেষ করবে জস বাটলারের দল। জানা যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান সফরে ইংল্যান্ড দলে যেমন কিছু নতুন মুখ নিয়ে গিয়েছিল তেমনটিই দেখা যাবে বাংলাদেশ সফরেও।