নেত্রকোনায় প্রেমিকাকে বিয়ে না করায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসা চলাকালীন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সে মারা যায়।
নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার কুতিউড়া গ্রামের আ. ছালাম ওরফে চট্টু মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাদেকুল আলম শাহ ওরফে সুয়েন জানান, উপজেলার খলিশাউড় পূর্বপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে ইউসুফের (২০) সঙ্গে কিশোরী সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউসুফ তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দিখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে বিয়ে না করার কথা জানিয়ে কিছুক্ষণ পর ইউসুফ তার দুই সহযোগিকে দিয়ে সুমাইয়াকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন ফারুককে ধরে রেখে মারধরও করে। ততক্ষণে সুমাইয়া সবার অজান্তে কীটনাশক পান করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসা পর সুস্থ হয় সে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়া মারা যায়।
পূর্বধলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আলম জানান, রাতেই নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।