সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পল্লিতে চুরির অভিযোগে সাইদুল ইসলাম সানা (৪০)কে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফ্রেরুয়ারি) নির্যাতনের শিকার সাইদুল ইসলাম সানার স্ত্রী লিলিমা খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তালা উপজেলার নওয়াকাটি গ্রামের মৃতঃ নওশের আলী সরদারের পুত্র রেজাউল ইসলাম ময়না ২০ হাজার ধার নেয় সাইদুল সানার কাছ থেকে। কয়েক দফায় ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকি ৫ হাজার টাকার ফেরত চাইলে নানান তালবাহানা শুরু করে ময়না। গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ধারের ৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে রেজাউল ইসলাম ময়না তার বাড়ির মোটর চুরি হওয়ার অপবাদ দেয়। এবং কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ময়নার নেতৃত্বে রাঢ়ীপাড়া গ্রামের সোবহান মোল্যা, সাগর মোড়ল, হাশেম মোড়ল, নওয়াকাটি গ্রামের একরামুল, জসিম সরদার, সজীবসহ কয়েকজন তাকে একটি গাছের সঙ্গে পিটমোড়া দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এ সময় সাইদুলের স্ত্রী লিলিমা খাতুন ও মা জাহানারা বেগম দুর্বৃত্তদের পা জড়িয়ে ধরলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
তারপর পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরদিন শুক্রবার সকালে পুলিশ সাইদুল ইসলামকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় দেয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৮/১০টি সেলাই দেওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতাল বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সাইদুল সানা। ইতিমধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে মাথা, পা ও কোমরের এক্সরেসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত রেজাউল ইসলাম ময়নাসহ ৭ জনকে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরায় আমলী ৬ নম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন সাইদুল ইসলাম সানার স্ত্রী লিলিমা খাতুন।